![]() |
| Science Experiment |
বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে দিন কে দিন করেছে সহজ থেকে সহজতর। বিজ্ঞানীদের নিরলস কঠোর পরিশ্রমে মানবজাতির সামনে এসেছে অবিস্মরণীয় সব আবিষ্কার। বিজ্ঞানীদের গবেষণার পেছনে লুকিয়ে থাকে নিত্য নতুন সব উদ্ভাবন।
তবে এই বিজ্ঞানী বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু পরীক্ষা চালিয়েছে যায় একইসাথে অদ্ভুত আবার ভয়ঙ্কর। 1938 সালের 31 অক্টোবর এক ব্যক্তির কব্জিতে, সেন্সর বেঁধে দেন বিজ্ঞানীরা। মৃত্যুর ঠিক আগে মানুষের হৃদস্পন্দন কেমন থাকে তা মাপার জন্য এই বিচিত্র পরীক্ষা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষাটির পর গুলি করে মেরে ফেলা হয় ব্যক্তিটিকে।
মৃত ব্যক্তির শরীরে বিদ্যুতের শক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে বহুবার। এক ভয়ংকরতম কান্ড ঘটে 1803 সালে। এক বিশাল প্রেক্ষাগৃহে মৃত এক ব্যক্তির শরীরে 120 ভোল্টের বিদ্যুতের শক দেয়া হয়। এর ফলে মৃতদেহ বিকৃত হয়ে স্টেজে সোজা হয়ে কাঁপতে থাকে।
আরো পড়ুন: ফুঁ দিয়ে কেকের মোমবাতি নেভালে কি হয়?
প্রশিক্ষিত কুকুরকে নিয়ে পরীক্ষা করেন একদল বিজ্ঞানী। উদ্দেশ্য ছিল কুকুর মানুষের প্রতি কতটা অনুগত তা পরীক্ষা করার। সঠিক আজ্ঞা পালন না করলে দেওয়া হতো বিদ্যুতের শক। প্রতি ভুলের জন্য বাড়ানো হত শকের পরিমান।
1954 সালের দিকে সোভিয়েত বিজ্ঞানী দেমিকভের আবিষ্কার তাক লাগিয়ে দেয় পুরো বিশ্বকে। তিনি একটি জার্মান শেফার্ডের ঘাড়ের সঙ্গে একটি স্পিজের মাথা এবং ডান পা জোড়া লাগিয়ে দেন। দিব্যি কুকুরটি হেঁটে দেখিয়ে অবাক করে দেয় সকলকে। তবে কিছুদিন পর এই প্রাণীটি মারা যায়।
আরো পড়ুন: সোনালি রক্ত বা গোল্ডেন ব্লাড কি?
1930 সালে ক্যালিফোর্নিয়ার রবার্ট কর্নেশ নামক এক বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন তিনি মৃত ব্যক্তিকে প্রাণ ফিরিয়ে নিতে পারেন। তাঁর দাবি প্রমাণ করতে একটি শিয়ালের উপর পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানী কর্নেশ। মৃত শিয়াল গুলোকে অনবরত রক্ত দিয়ে এবং তার নিজের আবিষ্কৃত দুটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে অবিস্মরণীয় ভাবে শেয়ালগুলোর দেহে প্রান ফিরে আসলেও পরবর্তীতে আরও কখনো পরীক্ষাটিতে সফল হতে পারেনি সেই বিজ্ঞানী।
1970 সালের মার্চে বিজ্ঞানীরা একটি বানরের মস্তিস্ককে কেটে অন্য একটি বানরের দেহে প্রতিস্থাপন করেন। মাত্র দের দিন বেঁচে ছিল সেই বানরটি। পরীক্ষাটি চালানোর সময় কালে মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক বানরের।
