![]() |
| নিকোলা টেসলা |
ধরুন এমন একটি লেজার যন্ত্র, যা 400 কিলোমিটার দূরের কোন প্লেন কে তার লেজার পাওয়ার দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। আবার প্রত্যেকটা দেশের বর্ডারে এরকম একটি অদৃশ্য দেয়াল রয়েছে যেখানে যদি কেউ বা কোন কিছু একবার স্পর্শও করে তাহলে সেখানেই সেই ব্যক্তি বা কোনো কিছু সেকেন্ডেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
এরকম কোন যন্ত্র বা দেয়ালের কথা হয়তো আপনারা কোন মুভি বা কার্টুনেই দেখেছেন। বাস্তবে এরকম যন্ত্র বা এরকম কোন দেয়ালের কথা হয়তো আমরা চিন্তাই করতে পারিনা। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে এরকম যন্ত্র ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত হয়ে গিয়েছে। আর এগুলোর আবিষ্কারক আর কেউই না বরং পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা। তিনি এরকম একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন, যেটি কৃত্রিম ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারত। আর এই ডিভাইসের সাইজ ছিল খুব ছোট অর্থাৎ খুব সহজে একে পকেটে করে ঘুরে বেড়ানো যেত।
একদিন বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা নিউইয়র্কের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্রিজ ব্রকলিন ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছিলেন তখন তার পকেটে থাকা এই যন্ত্রটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি কৃত্রিম ভূমিকম্প সৃষ্টি করেছিল যার ফলে পুরো ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল। এই ঘটনাটি থেকেই আপনারা আন্দাজ করতে পারেন যে এই কৃত্রিম ভূমিকম্প সৃষ্টিকারী যন্ত্রটি কতটা শক্তিশালী ছিল।
তো এখন কথা বলবো নিকোলা টেসলা এই অদ্ভুত যন্ত্র গুলো কেন তৈরি করেছিলেন এবং কিভাবে তৈরি করেছিলেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
ছোট সময় থেকেই নিকোলা টেসলা সাধারণ মানুষদের থেকে অনন্য গুণের অধিকারী ছিলেন। ছোট সময় থেকেই তার বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কারের নেশা ছিল। তিনি খুব অল্প বয়সেই বিজ্ঞানের অনেক হাই লেভেলের বই আয়ত্ত করে ফেলতেন। যেখানে অন্য বাচ্চারা খেলাধুলায় মগ্ন থাকতো। আর নিকোলা থাকতো বিজ্ঞানের এসব হাই লেভেলের বই আয়ত্ত করায় মগ্ন। তার এই নেশা তার বাবা-মা বুঝতে পারেন নি। তার বাবা-মা চাইতেন তার সন্তানও তাদের মত পুরোহিত হবেন। তাই স্কুলের পড়ালেখা শেষ হতেই নিকোলাকে তার বাবা-মা ঘরে নিয়ে আসেন। ঘরে আসার পরেই নিকোলা টেসলা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় নিকলা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছিলেন। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতেও নিকোলা টেসলার একটাই স্বপ্ন ছিল যে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন। নিকোলা টেস্টলার এরকম ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখে তার বাবা-মা তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে রাজি হয়ে যান। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায় নিকোলা টেসলা আস্তে আস্তে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। আর তাকে অস্ট্রিয়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করানো হয়।
পড়াশোনা শেষ হতেই তিনি তার এসি কারেন্ট এর আবিষ্কার নিয়ে স্বয়ং টমাস আলভা এডিশনের কাছে যান। কিন্তু এডিশন তারে এই এসি কারেন্টের উদ্ভাবনটিকে প্রত্যাখ্যান করে দেন এবং তাকে বলেন ডিসি কারেন্ট নিয়েই কাজ করতে। কিন্তু নিকোলা টেসলা ডিসি কারেন্টে অনেক ধরনের ভুল দেখতে পান তাই তিনি ডিসি কারেন্ট নিয়ে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেন এবং এডিশনের কোম্পানি ছেড়ে নিজের একটি কোম্পানি খোলেন টেসলা ইলেকট্রিক কোম্পানি নামে। এই কোম্পানির মাধ্যমেই নিকোলা টেসলা পৃথিবীর মাঝে এসি কারেন্ট কে রিপ্রেজেন্ট করেন এবং টেসলা হয়ে যান ফাদার অফ এসি কারেন্ট।
![]() |
| Father of AC current |
এরপর থেকেই নিকলা টেসলার জীবন অন্যদিকে ধাবিত হতে থাকে। এই সফলতার পর থেকে তার মাথায় আবিষ্কারের নেশা আরো বেশি করে ঘুরতে থাকে। তিনি ডেথ রে এবং আর্থকোয়েক মেশিন এর মতো অসাধারণ যন্ত্র আবিষ্কার করতে থাকেন। কিন্তু এত কিছু আবিষ্কার করার পরও তিনি অধিক ডিপ্রেশনে ভুগতেন। তার ভাই ডেইন টেসলা ছোট সময়ই হারিয়ে যায়। আর নিকোলা টেসলা তার ভাইয়ের চিন্তায় অধিক মগ্ন থাকতেন । তিনি সব ধরনের মানুষ এর থেকে দূরে থাকতে শুরু করেন এবং একা থাকতে শুরু করেন। আর তার ভাইয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। তো এভাবেই একা একা তিনি তার ছোটবেলার চিন্তায় যখন মগ্ন থাকতেন তখন তার মাথায় একটি বুদ্ধি
আসে । তিনি তার চিন্তা এতটাই মগ্ন থাকতেন যে তার মাথায় এই বুদ্ধিটা এসেছিল যে তিনি এরকম একটি যন্ত্র তৈরি করবেন যার মাধ্যমে তার মস্তিষ্কে সংঘটিত চিন্তাগুলো মনিটরিং করা যাবে। অর্থাৎ এসব চিন্তা গুলো তিনি অন স্ক্রিনে তুলে ধরবেন।
নিকোলা টেসলা একবার কোনো কিছু ভালোভাবে দেখলে তিনি তার মাথায় এটি খুব ভালোভাবে ক্যাচ করে নিতেন। তিনি কোন বিষয়ে আবিষ্কার করার আগে সবার প্রথমে সেটির থ্রিডি ডায়াগ্রাম তার মস্তিষ্কেই তৈরি করে নিতেন। তারপর তিনি তা কাগজে তুলে ধরতেন। তো এরকম ইমেজিনেশন দক্ষতা দিয়ে তিনি Thought Camera অর্থাৎ চিন্তা শক্তির ক্যামেরা তৈরীর আইডিয়া সবার সামনে তুলে ধরেন। তার ধারণা এমন ছিল যে, যখনই আমরা কোন বিষয় নিয়ে ভাববো তার একটি ইমেজ আমাদের মস্তিষ্ক থেকে রেটিনায় তৈরি হবে এবং রেটিনা থেকে কোন টেকনোলজির মাধ্যমে তা রিড করে কোন প্রজেক্টরের মাধ্যমে অন স্ক্রিন প্রদর্শন করা হবে। সহজ কথায় বলতে গেলে আমাদের চোখ প্রোজেক্টর এর মত কাজ করবে। আর এটা যদি সম্ভব হয় তাহলে আমাদের মস্তিষ্ক একটি প্রজেক্টরের মতো হয়ে যাবে। তার এই আইডিয়াটি খুব সহজ এবং অসাধারণ হলেও তিনি একটি জিনিস বুঝতে পারছিলেন না যে, আমাদের মস্তিষ্ক থেকে কি আসলেই রেটিনায় ইমেজ তৈরি হয় কি না। তো এই বিষয়টি বুঝতে না পারায় তিনি সেই যন্ত্রটি তৈরি করতে পারেননি। কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী গবেষণা করছেন। এবং বিজ্ঞানীরা সাফল্যের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তারা এমন এক ধরনের মেকানিজম তৈরি করেছেন যেটি এ আই এর সাহায্যে আমাদের নিউরনের মুভমেন্ট ট্র্যাক করে তা টেক্সটে কনভার্ট করতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে এখনো গভীর গবেষণা চলছে। তো আশা করা যায় নিকোলা টেসলার এই চিন্তা ধারাটি একদিন সত্যি হতে পারে ।
![]() |
| Thought Camera |
তো অন্যদিকে নিকোলা টেসলা এই যন্ত্রটি যদিও তৈরি করতে পারেননি, কিন্তু তিনি তার ইলেকট্রিক কনসেপ্ট নিয়ে প্রচুর গবেষণা শুরু করেন। তিনি ইলেকট্রিসিটির উদ্ভাবন তো করেছিলেন কিন্তু ইলেকট্রিসিটি সবার নিকট কীভাবে পৌঁছিয়ে দেয়া যায় তার জন্য একটি ডিভাইস তৈরির পরিকল্পনা করছিলেন। এমন একটি ডিভাইস যেটি অনেক ছোট এবং শক্তিশালী হবে এবং তার মাধ্যমে সবার কাছে ইলেকট্রিসিটি পৌঁছে যাবে। অবশেষে তিনি এমন একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যেটি দোলন শক্তির মাধ্যমে ইলেকট্রিক কারেন্ট ট্রান্সফার করতে সক্ষম। এই যন্ত্রটির নাম তিনি দেন Steam Powered Oscillator । কিন্তু এই ইলেকট্রিক জেনারেটর মেশিনটি আর্থ কুয়েক মেশিনে কনভার্ট হয়ে গিয়েছিল। যে মেশিনের কথা আমরা আপনাদের প্রথমেই জানিয়েছিলাম।
গবেষণার মাধ্যমে উনি দেখেছিলেন যে, নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সিতেই বিদ্যুতের পরিবহন ঘটে। এজন্য তিনি একটি oscillator তৈরি করেন যেটি দোলন শক্তির মাধ্যমে অনেক ধরনের ফ্রিকুয়েন্সি জেনারেট করতে সক্ষম। আর যখনই উৎপাদিত এই ফ্রিকোয়েন্সি কারেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি এর সাথে ম্যাচ করবে তখনই বিদ্যুৎ বা কারেন্ট ওই সিস্টেমে প্রবাহিত হওয়া শুরু করবে। কিন্তু যখনই তিনি এই যন্ত্রটির পরীক্ষা চালালেন তিনি দেখলেন তার ঘর কাঁপতে শুরু করেছে। ভূমিকম্পের মতো। তো এরকম কেন হল চলুন সেটা একটা উদাহরণের মাধ্যমে জানা যাক।
আমরা জানি অনেক জোরে চিৎকার করলে বা অনেক জোরে শব্দ দূষণ করলে কাছাকাছি থাকা কাচ কম্পনের ফলে ভেঙে যায়। কারণ যখনই কোন বস্তু উচ্চ স্বরে শব্দ করলে শব্দের তীব্রতার কারণে আশেপাশে থাকা গ্লাস বা কাচের ভাইব্রেশন হতে থাকে এবং একসময় সেই গ্লাস বা কাচ ভেঙ্গে যায়। আর এরকম কিছুই টেসলার ওই যন্ত্রটির জন্য হয়েছিল।
ওই যন্ত্রটির ফ্রিকোয়েন্সি, বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সির সাথে ম্যাচ হওয়ার বদলে তার বাড়ির ন্যাচারাল ভাইব্রেশন এর ফ্রিকোয়েন্সের সাথে ম্যাচ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল এই কৃত্রিম ভূমিকম্পের। এত কিছু হয়ে যাওয়ার পর ও তিনি হার মানেননি। তিনি এই যন্ত্রটি নিউইয়র্কের কোন একটি কনস্ট্রাকশন জোন এ নিয়ে যান এবং সেখানে এর পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেখানেও একই ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ ভূ কম্পন হয়। কিন্তু এইবার তিনি এই যন্ত্রটিকে অন্যভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করলেন। তিনি ভাবলেন, ইলেকট্রিসিটির জন্য না হোক এই যন্ত্রটি অন্য কোথাও ইউজ করা যেতে পারে। আর তাই তিনি এই যন্তটির দুইভাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথমত তিনি চিন্তা করলেন, জিওলজিস্টরা এই যন্ত্রের সাহায্যে মাটির স্ট্রাকচার সহজে বুঝতে পারবেন। সাধারণত এর ভাইব্রেট টি আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠিয়ে রিফলেক্ট হওয়া বেজ নিয়ে গবেষণা করা যায়। দ্বিতীয়তঃ দেশের শান্তির জন্য এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ এই ডিভাইসটি যুদ্ধ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়।
নিকোলা টেসলা জীবদ্দশায় দুইটি বিশ্বযুদ্ধই দেখেছেন। অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উভয়ই তিনি নিজ চোখে পরিলক্ষণ করেছেন এবং ১২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কে এই যুদ্ধের ফলে মরে যেতে দেখেছেন। এই সময়ে তিনি তেমন কিছু করতে পারেন নি, তবে তিনি মনে মনে অনেক কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন যাতে এরকম ভয়াবহ যুদ্ধ ভবিষ্যতে আর কোনদিন না হয়। আর তাই তিনি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস তৈরি করে ফেললেন। প্রথমটি হলো Tidal Wave Generator এবং দ্বিতীয় টা হলো Death Ray। প্রথমে কথা বলব Tidal Wave Generator বা আর্টিফিশিয়াল টাইড ওয়েভ কে নিয়ে। এটি এমন একটি ডিভাইস ছিল যার মধ্যে এটম বোমের সমপরিমাণ শক্তি ছিল। এই ডিভাইসটির মেকানিজম তুলনামূলক সহজ ছিল। প্রথমত ডিভাইস গুলোকে পানিতে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে রেখে দিতে হবে। আর যখনই কোন ব্যাটেলশিপ বা যুদ্ধজাহাজ ওই ডিভাইসের কাছাকাছি জায়গা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে তখনই রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে ডিভাইস গুলোকে ট্রিগার করতে হবে আর ওই ডিভাইস গুলোর বিস্ফোরণের ফলে ৩০ থেকে ৪০ মিটারের সমান জলোচ্ছ্বাস বা টাইডাল ওয়েভ এর সৃষ্টি হবে। যা ওই যুদ্ধ জাহাজকে পুরোপুরি পানিতে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হবে।
![]() |
| Death Ray |
এসব ডিভাইস বা যন্ত্র গুলোকে বানানো একদমই সহজ ছিল না। আপনি জানলে অবাক হবেন যে কয়েকশো কিলোমিটার দূরের ট্রেনের শব্দ তিনি শুনতে পেতেন, ৮০০ কিলোমিটার দূরে হওয়া বজ্রপাতের শব্দ ও তিনি শুনতে পেতেন, এমনকি ছোট কোন মাছির কোনো কিছুতে ধাক্কা খাওয়ার শব্দ ও তিনি শুনতে পেতেন। ওনার এসব কথা কেউই বিশ্বাস করতে চাইতেন না। এর একটা কারণ আছে যখন ১৯৩৪ সালের একটি ইন্টারভিউতে তিনি বললেন যে তার কাছে এমন একটি ডিভাইস রয়েছে যেটার নাম হলো টেলিফোর্স বা ডেথ রে যেটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকা যেকোনো কিছুকেই ধ্বংস করে দিতে পারে। ওনার এসব কথা কেউ বিশ্বাস করতে চাইতেন না। উনি যখন গভার্নমেন্ট এর কাছে এই ডিভাইসটি নিয়ে গেলেন তখন এ ডিভাইসটির টেস্ট না করেই তারা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল। আর উনি বললেন, যে ডিভাইসের কথা কেউ কোন সময় চিন্তা করতে পারেন না সে ডিভাইস আমি ইতিমধ্যে ইনভেন্ট করেই ফেলেছি। আর খুব শীঘ্রই আমি এই ডিভাইসটি লঞ্চ করব। সবাই এই সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন যে কখন তিনি এই ডিভাইস গুলো সবার সামনে লঞ্চ করবেন।
কিন্তু নিউইয়র্কের একটি হোটেলে একাকীত্বে মগ্ন হয়ে, রহস্যময় পরিস্থিতিতে পড়ে তিনি নিজের সব পরিকল্পনা শেষ করে দেন। আর এই ডিভাইসটি লঞ্চ হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জীবদ্দশায় 300 এর বেশি অসাধারণ ইনভেনশন করার পরও ডিপ্রেশনে ভুগে তিনি সব হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে নিউইয়র্কের হোটেলের বিল পরিশোধ করার টাকাও তার কাছে ছিল না। পরবর্তীতে তার করা কিছু ইনভেনশন কিছু বিজ্ঞানীরা তাদের নামে করে নেন।



.jpg)