![]() |
| ৬০০০ বছরের পুরনো ছবি |
সম্প্রতি কিছু দল গবেষক পাঁচ হাজার সাতশো বছর পুরোনো এক চিবানো চুইংগাম পেয়েছেন। এর থেকে পাওয়া ডিএনএ দিয়েই তাঁরা এই মহিলার ছবি অঙ্কন করেছেন।
বন্ধুরা, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান কতটা উন্নত হয়ে গেছে, তার প্রমাণ আবারও মিললো। বিজ্ঞান আমাদের জীবনটাকে কত সহজ করে দিয়েছে তা আমরা সবাই জানি। বিজ্ঞানের গুরুত্ব বলা শুরু করলে সেটা হয়তো শেষ হবে না। ভিডিওটা হয়তো অনেক অনেক বড় হয়ে যাবে। কিন্তু আজকে বিজ্ঞানের গুরুত্ব বা বিজ্ঞান নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাচ্ছি না। বলবো বিজ্ঞানের অসাধারণ আবিষ্কারের কথা।
আপনারা এখন একটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন। কি মনে হচ্ছে? ছবিটি কি আসল? দেখলে মনে হবে যে, ছবিটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ছবিটি নকল হতে পারে। কিন্তু আমি যদি আপনাদেরকে বলি যে, ছবিটি কম্পিউটারে তৈরি করা হলেও ছবিটি আসল? তাহলে কি আপনারা অবাক হবেন না?
হ্যাঁ বন্ধুরা অবাক হওয়ার মতোই ছবি এটি। এই ছবিটি কোনো সাধারণ ছবি নয়। এই ছবির পিছনে লুকিয়ে আছে বিজ্ঞানীদের অনেক কঠোর পরিশ্রম। এই ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে বিজ্ঞান কতটা উন্নত হয়েছে। তো আপনারা এখন অবাক হয়ে প্রশ্ন করবেন যে, কি আছে এই ছবির ভিতর? এই ছবির তাৎপর্য কি? এই ছবিটির মাধ্যমে বিজ্ঞানের অবদান কিভাবে বোঝা যায়? এছাড়াও আরো অনেক ধরনের প্রশ্ন হয়তো আপনাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তো সব প্রশ্নের উত্তর জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ূন।
এই ছবিটি লোলা নামক এক স্টোন এজ মহিলার। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, স্টোন এজ।
আজ থেকে ছয় হাজার বছর পূর্বে এই মহিলাটি স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে বসবাস করতেন।
তবে কী করে আমরা তাঁকে দেখতে পাচ্ছি? সেই সময় তো ক্যামেরা আবিষ্কার হয়নি।
উত্তর হলো বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের সাহায্যে। এর অসীম কৃপায় এখন কোনো কিছুই অসম্ভব না। ছবিটি পুরো পুরোই অনুমান করে বানানো হয়েছে। আর এই অনুমানের অনেক বড়ো কৃতিত্ব এই ছোট্ট চুইংগামের।
আমরা যখন কিছু খাই তখন দাঁতের সাথে তাতে আমাদের কিছু ডিএনএ চলে যায়। আমরা জানি, যেকোনো ব্যক্তির শরীরের সমস্ত তথ্য তাঁর ডিএনএ-তে স্টোর করা থাকে। একে আপনি আপনার শরীরের বায়োলজিক্যাল লাইব্রেরি বলতে পারেন। সামান্য বাহ্যিক বদলের জন্যে ও আপনার শরীর কখন কীরকম প্রতিক্রিয়া করবে এতে সবই লেখা আছে।
সম্প্রতি কিছু দল গবেষক পাঁচ হাজার সাতশো বছর পুরোনো এক চিবানো চুইংগাম পেয়েছেন। এর থেকে পাওয়া ডিএনএ দিয়েই তাঁরা এই মহিলার ছবি অঙ্কন করেছেন। ব্যাপারটা ভারী মজাদার না?
শুধু দাঁত নয়, নখ অথবা চুলের মতো বাহ্যিক অঙ্গে ও আমাদের ডিএনএ লুকিয়ে থাকে। আর বিজ্ঞানীদের কাছে আপনার ওই একটা চুলই যথেষ্ঠ আপনার সমস্ত জেনেটিক কোড পেতে।
এবার আমার মতো কিছু জিজ্ঞাসু লোকেরা প্রশ্ন করবে, এতো বছর আগে মহিলাটি চুইংগাম পেল কিভাবে ?
প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক, এটা আমার ও মাথায় এসেছিল। ইন্টারনেটের একটু গভীরে গিয়ে জানতে পারলাম এর উত্তর। যেই জিনিসটাকে এতক্ষণ চুইংগাম বলে সম্বোধন করা হচ্ছিল তা আসলে বার্চ গাছের টার, এক আঠালো জাতীয় পদার্থবিশেষ।
ছয় হাজার বছর পুরোনো এক চুইংগাম দিয়ে তার ব্যবহারকারীর সমস্ত ডেটা পাওয়া আজ বিজ্ঞানের দ্বারা সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানমহলে এ যে অনেক বড়ো প্রগতি এ বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই।
তো আশা করছি আপনাদের মাথায় ঘুরপাক খাওয়া সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন। যদি আপনাদের মাথায় আরো কিছু প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।
Keywords:
যেভাবে তোলা হয়েছিল ৬০০০ বছর আগের এই মেয়েটির ছবি, ৬০০০ বছরের পুরনো একটি ছবি, 9,000 year-old chewing gum, Chewing gum girl meaning, What year was it 6,000 years ago, 6,000 years ago from 2022, কীভাবে ছবি আঁকবে, চূইং গাম খাওয়া, চুইংগাম কী ক্ষতি করে, ড্রইং
