সাম্প্রতিক হরলিক্সের গুনাগুন প্রকাশ করার দাবীতে ভারতে এক ব্যাক্তি হরলিক্সের বিরূদ্ধে মামলা করে। কিন্তু সেই মামলায় জিএসকে হরলিক্সের গুনাগুন প্রমান করতে ব্যার্থ হয়।
আজ থেকেই দুধে হরলিক্স নয় ফলমূল মেশান!আমরা আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে কতোটা সচেতন? প্রশ্নটা করার সাথে সাথে একটা মা উত্তর দেয়। আমার বাচ্চাকে আমি হরলিক্স খাওয়াই। আর রাতে ডানো দুধ খায়। বাচ্চা সাথে সাথে রিপিট করে মা মা আমি কমপ্লেন ও খাই না?
এই হল আধুনিক মা বাবা।
তার উপর ফাস্ট ফুড হিসেবে বার্গার, পিজ্জা, পাস্তা, এসব তো আছেই। আমরা শিশু কাল থেকে লেকটজেন, মাই বয়, এসব খাওয়াতে অভ্যস্ত করি আমাদের শিশুটিকে। আসলেই কি এইসব খাবার আমাদের শিশুকে লম্বা করে, বুদ্ধিমান করে, শক্তিশালী করে?
বাংলাদেশে যে কয়টা "বোতলবন্দি" শক্তি ও পুষ্টিপণ্য পাওয়া যায় সেগুলো হরলিকস,বুষ্ট,মালটোভা,ভিভা আর কমপ্ল্যান। সাম্প্রতিক হরলিক্সের গুনাগুন প্রকাশ করার দাবীতে ভারতে এক ব্যাক্তি হরলিক্সের বিরূদ্ধে মামলা করে। কিন্তু সেই মামলায় জিএসকে হরলিক্সের গুনাগুন প্রমান করতে ব্যার্থ হয়।
তো বুঝেই গেছেন হরলিকসের পিছনে এত টাকা খরচ করে শুধু প্রতারণারই শিকার হচ্ছেন। এবার না হয় একটু সচেতন হোন। অল্প কিছু ডাক্তারের উদ্দেশ্য হরলিকসের বিজ্ঞাপনে মাঝে মাঝে ডাক্তারের উপস্থিত দেখা যায়। কখনো বা ব্যাপারটা এমন ডাক্তার নিযে হরলিকস খাচ্ছেন আর হরদম পরামর্শ দিচ্ছেন অন্যদের হরলিকস খেতে!!!!
প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো দেখে মনে হতে পারে ভিটামিন এবং মিনারেল খুবই দুর্লভ বস্তু এবং আপনাকে ফুড সাপ্লিমেন্ট বা ম্পূরক খাবার হিসেবে ভিটামিন এবং মিনারেল বিশাল পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
পুষ্টিশিক্ষা এবং আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তক
"ভাত,আলু শর্করা জাতীয় খাদ্য; মাছ,মাংস,ডিম আমিষ জাতীয় খাদ্য..." এগুলো আমাদের দেশের স্কুলের পাঠ্যবইগুলোতে লেখা আছে। কিন্তু একটি বইয়েও লেখা নেই আমাদের ঠিক কতটুকু শক্তি দরকার,ঠিক কতটুকু প্রোটিন দরকার,কিংবা কোন খাবারে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে। আমাদের দেশের বইগুলোতে পুষ্টিশিক্ষা নিয়ে কি কয়েকটা পাতা যোগ করা যায় না যাতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের মা-বাবাদের অজ্ঞানতার ফাঁদে ফেলে প্রতারিত করতে না পারে?
সূত্র:
somewhereinblog.net
somoybarta24.blogspot.com