![]() |
| Brain |
মস্তিষ্ক বা মগজ, মানবদেহের সবচেয়ে কার্যকরী অঙ্গ। এই মস্তিষ্কে তৈরি রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো, একটি কোষ থেকে অন্য কোষে, ঘণ্টায় 260 কিলোমিটার বেগে স্থানান্তরিত হচ্ছে। তিন পাউন্ডের এই মস্তিষ্কের প্রায় চারশ মাইলের মত দীর্ঘ। রক্তের শিরা-উপশিরায় 1 ট্রিলিয়ন গিলাল কোষ, এবং 100 বিলিয়ন এর মত কোষ রয়েছে।
মস্তিষ্ক বা মগজ, মানবদেহের সবচেয়ে কার্যকরী অঙ্গ। ইংরেজিতে ব্রেইন বা গ্রে ম্যাটার, মানব মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্রর কেন্দ্রীয় অঙ্গ। এই মস্তিষ্ক মানব দেহের সিংহভাগ কার্যকলাপি, নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কিছু বিশেষ কাজের জন্য মানব মস্তিষ্কে অসাধারণ বিশেষণ দিয়েছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক্স। হাঁটাচলা সহ শরীরের বিভিন্ন গতিবিধি কে ত্বরান্বিত করতে, মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন, রাসায়নিক এবং একইসাথে বৈদ্যুতিন সংকেত পেরন করে। আর সংকেতগুলো তৈরি হয় চারপাশ থেকে তথ্য আহরণ, ও মস্তিষ্কে বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
মস্তিষ্কে তৈরি রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো, একটি কোষ থেকে অন্য কোষে, ঘণ্টায় 260 কিলোমিটার বেগে স্থানান্তরিত হচ্ছে। বলতে গেলে এই অঙ্গটি একটি মহাসড়কের মতো কাজ করে। তিন পাউন্ডের এই মস্তিষ্কের প্রায় চারশ মাইলের মত দীর্ঘ। রক্তের শিরা-উপশিরায় 1 ট্রিলিয়ন গিলাল কোষ, এবং 100 বিলিয়ন এর মত কোষ রয়েছে। অর্থাৎ মস্তিষ্কে একসাথে অনেকগুলো কোষ কাজ করছে অনায়াসে।
ঘুমন্ত কিংবা সজাগ, দুটি অবস্থাতেই এই অঙ্গটি 24 ঘন্টাই সচল থাকে। মানব মস্তিষ্ক সারাক্ষণই কাজ বা চিন্তা ভাবনা করে যাচ্ছে। গবেষকদের ধারণা, প্রতিদিন একটি মস্তিষ্ক প্রায় 70,000 চিন্তা করে। অর্থাৎ মস্তিষ্ক সর্বদাই চিন্তাশীল। নতুন কোন ভাষা শেখা বা ব্যায়ামের মতো কোনো কার্যক্রম, বা বিভিন্ন কৌশল মস্তিষ্ক বা গ্রে ম্যাটার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যে কোষগুলোই পরবর্তীতে কৌশলগুলি প্রক্রিয়াকরণ করে। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় সারা জীবনই নতুন কোষ তৈরি হয়। কার্যক্রমটি কমপক্ষে 97 বছর পর্যন্ত চলছে বলেই ধারণা করছেন গবেষকগণ।
