| বিশ্বে ৮১ কোটিরও বেশি মানুষ প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে যায়। অন্যদিকে প্রতিদিন যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয় তাতে একদিনে প্রায় ১ কোটি মানুষকে খাওয়ানো যাবে ! |
আমাদের সবচেয়ে নিরর্থক সমস্যা গুলোর মধ্যে প্রধান হল খাদ্য অপচয়। পৃথিবীতে উৎপাদিত সকল খাদ্যের তিন ভাগের এক ভাগ সরাসরি আবর্জনায় পরিণত হয়। অন্যদিকে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি লোক না খেয়ে মারা যায় ।
জাতি সংঘের তথ্য মতে, বিশ্বব্যপী প্রায় ৮৫ কোটিরও বেশি লোক মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। অপুষ্টি জনিত কারণে এবং ক্ষুধার কষ্টে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়। যার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শিশু রয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি ১০ সেকেন্ডে একটি শিশু না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবছর নতুন করে আরো ১০ কোটি লোক খাদ্য কেনার সামর্থ্য হারায়।
পৃথিবীতে এতো পরিমাণ খাবার উৎপাদিত হয় যে, সবাই খাওয়ার পরেও খাদ্য বেঁচে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী খাদ্য পণ্যের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে প্রতিদিনই নতুন করে বহু লোক ক্ষুধায় কষ্ট করছে।
বিশ্বে ৮১ কোটিরও বেশি মানুষ প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে যায়। অন্যদিকে প্রতিদিন যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয় তাতে একদিনে প্রায় ১ কোটি মানুষকে খাওয়ানো যাবে !
খাদ্য অপচয় বলতে শুধু অর্ধেক খেয়ে ফেলে দেওয়া নয়, এমন বহু খাদ্য অপচয় করা হয় যা কখনো কারো প্লেটেও ওঠেনি। এমনকি সেসব খাবার পুনরায় বিক্রি করার উপযোগী। কিন্তু সে খাবার কোনো গরিবকে না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO- Food and Agriculture Organisation) মতে, পৃথিবীর মোট উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অপচয় হয়, যার পরিমাণ বছরে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) টন, যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ।
খাবার অপচয় করতে আমরা কেও পছন্দ করিনা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবিওনা। বৈশ্বিক খাদ্য অপচয়ের অভ্যাস রাতারাতি পরিবর্তন করা যাবেনা।
আজ থেকে আমরা ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করবো খাদ্যের অপচয় শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে৷ সেই সাথে ক্ষুধার্ত কে খাদ্য দান করার চেষ্টা করবো। চলুন সবাই খাদ্য অপচয়ের ব্যাপারে সচেতন হই, এবং অন্যকেও সচেতন করি।
সূত্র:
শুভ প্রভাত মিডিয়া।