আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে Join করুন! এখানে আপনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও রহস্য বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। Join Now

নোটিশ

এসো, যদি জানতে চাও!

কি হবে যদি হঠাৎ করে আমাদের পৃথিবী থেকে মানুষ গায়েব হয়ে যায়? | What if there are no humans on Earth? - mayabee jagat

যে সময় আমাদের এই পৃথিবী থেকে মানুষ গায়েব হয়ে যাবে, ওই সময় থেকেই আমাদের এই পৃথিবী ধ্বংস হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
What if there are no humans on Earth?

হ্যালো বন্ধুরা বর্তমান সময়ে আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় 7.9 বিলিয়ন লোক বসবাস করে। কিন্তু এটার কি মানে দাঁড়ায়? বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখছি, সবকিছুই আমাদের মানুষই তৈরি করেছে। তো কি হবে যদি হঠাৎ করে আমাদের পৃথিবী থেকে মানুষ গায়েব হয়ে যায়?


বর্তমান সময়ে আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় 7.9 বিলিয়ন লোক বসবাস করে।


আজ বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখছি, সবকিছুই আমাদের মানুষই তৈরি করেছে। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, ঘর, চেয়ার এ সবকিছুই আমাদের মানবের আবিষ্কার। বর্তমান সময়ে ই-মেইলের মাধ্যমে কয়েক বিলিয়ন ই-মেইল আদান-প্রদান হয়। কিন্তু এগুলো কারা করছে, মানুষই তাই নয় কি?


তো কি হবে যদি হঠাৎ করে আমাদের পৃথিবী থেকে মানুষ গায়েব হয়ে যায়? যে সময় আমাদের এই পৃথিবী থেকে মানুষ গায়েব হয়ে যাবে, ওই সময় থেকেই আমাদের এই পৃথিবী ধ্বংস হওয়া শুরু হয়ে যাবে।


বিনা কোন পাইলটে আকাশে উড়তে থাকা সব ধরনের যান, হেলিকপ্টার, প্লেন এ সবকিছুই মাটিতে আছড়ে পরতে শুরু করবে। সব ট্রেন তার রেল লাইন থেকে বাইরে চলে আসবে। আর রোডে চলতে থাকা সব ধরনের ভেহিকেলস এদিক সেদিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত হতে থাকবে। মানুষ গেয়েব হওয়ার কিছু সময় পরেই ইলেকট্রিসিটি কাট হতে শুরু করবে। কয়লা থেকে প্রডিউস হওয়া ইলেকট্রিসিটির ফিউল শেষ হতেই থেমে যাবে। আর হাওয়া এবং জল দ্বারা চলা সব ধরনের মেশিন কোন প্রকার মানুষের রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে।


এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই সব নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেবে। এবং আগামী 10 দিনের ভিতরে সব পোষা প্রাণী হয়তো কোথাও পালিয়ে যাবে, আর না হয় খিদের জ্বালায় মরে যাবে। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনা অ্যাটমোসফিয়ারে ঠিক তেমন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সবথেকে বড় ডিজাস্টার বাকি আছে। 15 দিনের ভেতর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ঠান্ডা করার জন্য ব্যবহৃত পানীয় জল বাষ্পীভূত শুরু করবে এবং একটি বিশাল বিস্ফোরণের সাথে ফেটে যাবে।



যার ফলে আশেপাশে থাকা সমস্ত প্রাণী ভয়ঙ্কর রেডিয়েশনেই মারা যাবে। আর এই বিস্ফোরণে কয়েক হাজার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সব ধরনের প্রাণীর মৃত্যু হবে। কিন্তু এই বিস্ফোরণ থেকে দূরে যে সমস্ত জীব জন্তু আছে তারা সহজেই বেঁচে যাবে। চিড়িয়াখানায় আটকে থাকা যে সমস্ত প্রাণী আছে তারা হয়তো সেখান থেকে পালিয়ে যাবে আর না হয় তার ভেতরেই খাবারের অভাবে মৃত্যু হবে।


এবং কয়েক বছরের মধ্যেই সব শহর ধীরে ধীরে জঙ্গলে পরিণত হতে শুরু করবে। এখন অনেকটাই নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন কম হয়ে গেছে এবং পৃথিবীর অধিকাংশ অংশ এখন সবুজায়ন হয়ে যাবে। রাস্তা-ঘাট এমনকি ঘরের ভিতর গাছের জন্ম হতে শুরু করবে। প্রায় 35 বছর পর আমরা যে সমস্ত স্যাটেলাইটকে এখনো পর্যন্ত মহাশূন্যে প্রেরণ করেছি সেগুলোর সাথে পৃথিবীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আর ওই সমস্ত স্যাটেলাইটটি ধীরে ধীরে পৃথিবীতে এসে পরতে শুরু করবে। আর এই সময়ে পৃথিবীতে থাকা সবধরনের ঘড় এবং বড় বড় বিল্ডিং, মেইনটেনেন্স না করার কারণে ধ্বংস হতে শুরু করবে।


আর সমুদ্রের কাছাকাছি থাকা বেশ কিছু শহর সমুদ্রের জলের নিচে চলে যাবে। এবং সব পুরনো জাহাজ সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত হবে। এবং ঐ সমস্ত জাহাজের মধ্যে তখন সমুদ্রের ঢেউ এর রাজত্ব হবে। পৃথিবী থেকে মানবের গায়েব হয়ে যাওয়ার পর আজ থেকে 40 বছর পর্যন্ত  আমাদের পৃথিবীতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং তখনো চালু থাকবে।


আর পৃথিবীর অ্যাটমোস্ফিয়ার এর তাপমাত্রা কিছু কিছু বাড়তে থাকবে। কিন্তু আমাদের পৃথিবী থেকে মানুষ গায়েব হওয়ার পর পৃথিবীর অ্যাটমোস্ফিয়ার ভিশন দ্রুতভাবে ইম্প্রুভ করতে শুরু করবে। এবং মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই সমুদ্রের প্রাণীর জীবনে অনেকটাই পরিবর্তন আসবে। তখন সমুদ্রে প্রাণীতে ভরপুর থাকবে। এবং এরপর আগামী দশ বছরের মধ্যে শহরের সব পলিউশন শেষ হয়ে যাবে এবং চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ হবে। সম্পূর্ণ পৃথিবীর সব শহর তখন আর শহর মনে হবে না।


মনে হবে এটা যেন ভয়ঙ্কর কোন জঙ্গল। এবারে আপনি যেখান থেকে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, যদি সব মানুষ হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায় তো ওই স্থানে আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর পর জীবজন্তু এবং গাছপালার রাজত্ব হবে। এরপর প্রায় 300 বছর পর মানুষ না হওয়ার কারণে এবং প্রকৃতিতে এতো পজিটিভ কিছু হওয়ার কারণে অ্যাটমোস্ফিয়ারে সাথে থাকা সব কার্বন ডাই অক্সাইড এবং সব বিষাক্ত গ্যাস সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে।


আমরা মানুষ এই পৃথিবীতে যেখানে সব থেকে বেশি পলিউশন করেছি ওই স্থানটি ও এখন সম্পূর্ণ জঙ্গলে ঢেকে যাবে এবং আমাদের পৃথিবীর ওজন লেয়ার এখন সম্পূর্ণভাবে ঠিক হয়ে যাবে এবং পৃথিবী তখন আবার নতুন করে একটি জীবন পাবে। আর অতীতে যে আমরা ছিলাম তার একমাত্র প্রমাণ হবে এই সমস্ত স্টিল এবং প্লাস্টিক।


পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে থাকা সব বড় বড় বিল্ডিং এখন শুধুমাত্র ধ্বংসাবশেষ হিসেবে টিকে থাকবে এবং তার মধ্যে এখন জংলি জীবজন্তুর রাজত্ব হবে। এরপর প্রায় দশ হাজার বছর পর পৃথিবী এখন শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু 25 হাজার বছর পরেও পৃথিবীতে মানুষ ছিল তার একটি প্রমাণ থেকেই যাবে, প্লাস্টিক যেটা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়নি।


তো বন্ধুরা আমরা মানুষ পৃথিবীতে এতটাই পলিওশন ছড়িয়ে দিয়েছি যে যার থেকে এমনটা আমাদের মনে হতে পারে যে, আমরা খুশি কিন্তু পৃথিবীর বাকি অন্যান্য প্রাণীদের অবস্থা কি এই সমস্ত পলিউশন এর কারণেই তাদের ওপরে কতটা মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।


কিন্তু ঐ সমস্ত প্রাণীদের সম্পর্কে কারা ভাববে,‌ আমরা মানুষই তো তাই না? পৃথিবী থেকে হঠাৎ মানবের গায়েব হয়ে যাওয়া এটা তো কোনভাবেই সম্ভব না, কিন্তু আমাদেরকে তো আমাদের এই পৃথিবীর খেয়াল অবশ্যই রাখা উচিত।


আপনি আমাদের এই পৃথিবীর খেয়াল অধিক থেকে অধিক রাখতে পারেন। সেই সাথে যতটা সম্ভব পলিওশন কম করার চেষ্টা করুন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা পারুন কম করুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকে সুস্থ থাকতে দিন। 


সেই সাথে আমাদের পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য অন্যান্য প্রাণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাণীদের কে বাঁচার সুযোগ দিন তাহলে আমাদের পৃথিবী সুস্থ থাকবে। আর আমাদের পৃথিবী সুস্থ থাকলে আমরাও সুস্থ থাকব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন