| পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম মিঠাপানির হ্রদ বৈকাল হ্রদ! এই হ্রদের আয়তন ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার, পৃথিবীর খাবার যোগ্য বিশুদ্ধ পানির ১৯ ভাগই এই হ্রদে অবস্থিত! |
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন আর গভীরতম সুপেয় পানির হ্রদ বৈকাল। আয়তনের দিক থেকেও এটি বৃহত্তম। এই হ্রদের অবস্থান রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়। প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি এই বৈকাল হ্রদকে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় ইউনেসকো।
পৃথিবীর মোট আয়তনের চার ভাগের তিন ভাগ জল দিয়ে পরিবেষ্টিত। আয়তনে মোট ১,৩৮৬ মিলিয়ন ঘন কি.মি. পরিমাণ জল আমাদের স্থলভাগকে ঘিরে রেখেছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিশাল ৫ মহাসাগর, শত শত সাগর এবং লক্ষাধিক নদীনালা। এছাড়া রয়েছে প্রায় ১১৭ মিলিয়ন হ্রদ। চারদিকে স্থলবিশিষ্ট জলাশয় হিসেবে পরিচিত এই হ্রদগুলো পৃথিবীর জলভাগের অন্যতম প্রধান আধার হিসেবে বিদ্যমান।
পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই ছোট-বড় হ্রদ দেখা যায়। কিছু কিছু হ্রদ এতটাই বিশাল যে, এদের নামকরণে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সাগর উপাধি।
রুশ ফেডারেশনের সাইবেরিয়া অঞ্চলের দক্ষিণাংশে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন স্বাদুপানির হ্রদ বৈকাল। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, এই হ্রদের বয়স প্রায় ২০-২৫ মিলিয়ন বছরের মতো হবে। রুশরা একে ওরেজো বেয়কাল বা বৈকাল নামে ডেকে থাকে। তিইউরিস্ক ভাষার আঞ্চলিক শব্দ ‘বাই-কুল’ থেকে এই হ্রদের নামকরণ করা হয়েছে। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় সম্পদশালী হ্রদ। এই হ্রদকে অনেকে সাইবেরিয়ার মুক্তা নামেও ডেকে থাকেন।
রাশিয়ার অন্যতম এই জলধারাটি স্থানীয়দের নিকট অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক অঞ্চলে এই হ্রদকে ঘিরে অলৌকিক গল্পকথাও প্রচলিত রয়েছে।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বৈকাল হ্রদ অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে মানুষ সর্বপ্রথম বৈকাল হ্রদ আবিষ্কার করে।
সূত্র:
Roar.media
Prothomalo