| আগামী ২৫ শে ডিসেম্বর ২০২১ সালে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ লঞ্চ হবে। যেটা হাবল টেলিস্কোপের থেকে ১০০ গুণ শক্তিশালী। |
আমাদের পৃথিবীর বাইরে এক অনন্ত মহাকাশ, যার শুরু বা শেষ এখনো আমাদের কাছে রহস্যের। আর এই অজানা রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় প্রতিনিয়ত মহাকাশের দিকে কড়া নজর রেখে চলেছে নাসা।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপের (Hubble Space Telescope) মহাকাশের অনেক রহস্য উন্মোচনে আমাদের সাহায্য করে এসেছে। 1991 সালে লঞ্চ করা সেই টেলিস্কোপ এর শক্তিশালী বিকল্পের ভাবনা শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক আগে থেকেই। তাই এবার সেই কমতি গুলো পূরণ করে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় 10 বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করে তৈরি করে ফেলা হয়েছে এখনো পর্যন্ত সবথেকে বড় এবং পাওয়ারফুল স্পেস টেলিস্কোপ। আর এর নাম জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope)।
নাসার তত্ত্ব অনুযায়ী এই টেলিস্কোপটি নির্মাণে নাসার মোট খরচ হয়েছে ভারতীয় টাকায় প্রায় ৭৩,৭০০ কোটি টাকা। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এর পূর্বে হাবল টেলিস্কোপটি নাসাকে মহাকাশের রহস্য সন্ধানে সাহায্য করে চলেছিলো।
মাঝে বেশ কিছু সমস্যা দেখা গেলেও এই স্পেস টেলিস্কোপ এখন উৎক্ষেপণের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের তুলনায় এটা 100 গুণ বেশি শক্তিশালী এবং এর ওজন 7 টনের। জানা যাচ্ছে এত গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল উৎক্ষেপণ বিগত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে নাশা করেনি। উৎক্ষেপণের সময় 344 টি এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেগুলো যদি কোন রকম সমস্যায় পড়ে যায় তাহলে তাদের ব্যাকআপ এর ব্যবস্থা নেই। যা এই টেলিস্কোপ কে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে আগামী 25 তারিখে লঞ্চ করে দেওয়া হবে এই স্পেস টেলিস্কোপ কে। এই বিষয়ে গত 21 তারিখে এক বিজ্ঞপ্তিতে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয় Guiana Space সেন্টারে উচ্চ বেগে হওয়া বওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিসেম্বরের 25 তারিখ কেই বেছে নেওয়া হয়েছে লঞ্চের জন্য। মনে করা হচ্ছে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক গেলে এই দিনই লঞ্চ করে দেওয়া হবে বহু প্রতীক্ষিত এই মহাকাশের পর্যবেক্ষককে।
সবকিছু যদি ঠিকঠাক যায় তাহলে মহাকাশের অনেক লুকানো রহস্য আমাদের সামনে চলে আসবে এর মাধ্যমেই।
সূত্র:
shresthotech.com
extragyaan.com