| Osmium |
অসমিয়াম পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী ধাতু। এটার উচু সিল্লির ওজন একটি হাতির সমান।
অসমিয়াম একটি রাসায়নিক মৌল প্রতীক Os এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৭৬। এটি প্ল্যাটিনাম গ্রুপের একটি কঠিন, ভঙ্গুর, নীল-সাদা রূপান্তর ধাতু। অসমিয়াম পরীক্ষামূলকভাবে পরিমাপ করা হয়, একটি পরীক্ষামূলকভাবে পরিমাপ হয় এর ঘনত্ব ২২.৫৯g/cm3।
এই ধাতুটির ঘনত্ব ২২.৫৯ গ্রাম/মিলিলিটার অর্থাৎ এটি পানির চেয়ে ২২.৫৯ গুণ ভারী।
১ লিটার পানির ওজন সাধারণত ১ কেজির সমান হয়, সেই হিসেবে ১ লিটার অসমিয়ামের ওজন ২২.৫৯ কেজি ! যা পর্যায় সারণির সকল মৌল গুলোর মধ্যে সর্বাধিক এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী ধাতু।
ভারী ধাতু সাধারণত সেই ধাতুসমুহ যাদের ঘনত্ব, পারমাণবিক ভর অথবা পারমাণবিক সংখ্যা অনেক বেশি। ভারী ধাতু হওয়ার মানদন্ড বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়। যেমন, ধাতুবিদ্যায় ঘনত্বের ভিত্তিতে সঙ্গায়িত করা হয়, পদার্থ বিজ্ঞানে যেখানে পারমাণবিক সংখ্যাই পার্থক্য নির্ণায়ক আবার রসায়নবিদরা রসায়নিক বৈশিষ্টের ওপর আরো জোর দেন। এর অনেক সংজ্ঞা থাকলেও সবচেয়ে বেশি গৃহীত সংজ্ঞা হল, যে মৌলের ঘনত্ব ৫ গ্রাম/সে.মি.৩ এর বেশি তারাই ভারী ধাতু।
এই ধাতুটির রাসায়নিক নিষ্কৃয়তা,স্থায়ীত্ব এবং কঠিনতার জন্য বৈদ্যুতিক সংযোগ,ফাউন্টেন পেন এর নিব এবং ফটোগ্রাফ নিডলস এ ব্যাবহার করা হয়।
সবচেয়ে কাছের পরিচিত ভারী ধাতুগুলো লোহা, তামা ও টিন আর দামী ভারী ধাতুগুলো হল রুপা, সোনা ও প্লাটিনাম। ১৮০৯ সালের আগে থেকে হালকা ধাতু যেমন, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও টাইটানিয়াম এবং পাশাপাশি ভারী ধাতু যেমন, গ্যালিয়াম, থ্যালিয়াম ও হ্যাফনিয়াম আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এদের কিছু আছে যেগুলো পরিপোষক পদার্থ যেমন: লোহা, কোবাল্ট ও দস্তা registration আর কিছু কম ক্ষতিকারক যেমন: রুথিনিয়াম, রূপা ও ইন্ডিয়াম কিন্তু কিছু আছে যেগুলোর বেশি পরিমাণ বিষাক্ত। অন্যান্য কিছু আছে যেগুলো বিষাক্ত যেমন- ক্যাডমিয়াম, মার্কারি ও সীসা। খনি, শিল্প বর্জ্য এবং কৃষিজ অবশিষ্ট্য এই বিষক্রিয়ার সম্ভাব্য উৎস।
Read also: আন্তর্জাতিক নারী দিবস
তুলনামুলকভাবে ঘন হওয়ায় হালকা ধাতু থেকে কম প্রতিক্রিয়াশীল এবং হাইড্রক্সাইড ও সালফাইডের তুলনায় অনেক কম দ্রবণীয়। যদিও হালকা ধাতু থেকে ভারী ধাতু আলাদা করা সহজ কিন্তু কিছু হালকা ধাতু বেরিলিয়াম, স্ক্যানডিয়াম, টাইটানিয়ামর ভারী বৈশিষ্ট আছে আবার কিছু ভারী ধাতু তামা, পারদ, সীসার হালকা বৈশিষ্ট আছে।
ভারী ধাতুগুলো তুলনামুলকভাবে ভূূত্বকে দুর্লভ কিন্তু আমাদের আধুনিক জীবনের বহু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত। গলফ ক্লাব, গাড়ি, এন্টিসেপ্টিক্স, স্বপরিষ্কারক ওভেন, সৌর প্যানেল, মুঠোফোন ও কণা ত্বরক এ ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু এই মৌলকে যখন ৪ অণু অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করানো হয় তখন অসমিয়াম টেট্রাঅক্সাইড নামক অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ সৃষ্টি করে,যার গন্ধ অত্যন্ত বাজে।
সূত্র:
wikipedia.org
bd.eyenewsbd.com
সার্চ কি-ওয়ার্ড
পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু অসমিয়াম,পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী ধাতু,পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী ধাতু হলো Osmium,বিশ্বের সবচেয়ে ভারী ধাতু। ওষমিয়াম পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী ধাতু,
বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অধাতু কোনটি